হোম > সারা দেশ > ঢাকা

নরসিংদীতে সাড়ে ৩ মাস ধরে কলেজে অনুপস্থিত অধ্যক্ষ, অপসারণ দাবি

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি 

সরকারি হোসেন আলী কলেজ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর বেলাবোতে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ও অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার সরকারি হোসেন আলী কলেজ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি করা হয়।

শিক্ষকদের অভিযোগ, সরকারি হোসেন আলী কলেজের অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তীর কাছে অনলাইনের বিভিন্ন কার্যক্রমের ও লেনদেনের পাসওয়ার্ড রয়েছে। এতে কলেজের যাবতীয় লেনদেন বন্ধ আছে। এ ছাড়া পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা জানান, বীরেশ্বর চক্রবর্তী ২০১৩ সালে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অসৎ আচরণ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। এর আগে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে চারবার তদন্ত হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তী কর্মস্থলে অনুপস্থিত। কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরা বিভিন্ন সময়ে তাঁর সঙ্গে যোগযোগ করতে ব্যর্থ হন। এ কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষ অধ্যক্ষের চলতি দায়িত্ব দিয়েছেন জিয়ারউর রহমান নামের এক শিক্ষককে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা আরও জানান, ২০১৮ সালে অডিট কমিটির তদন্তে অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে কলেজের প্রায় ১১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। আত্মসাৎ করা অর্থের মধ্যে তৎকালীন সময়ে তিন লাখ টাকা ফেরত দেন তিনি। আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

কলেজের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী কুলসুমসহ একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, এত দিন কলেজে অধ্যক্ষের একক আধিপত্য ছিল। তিনি আমাদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেছেন। দ্রুত তাঁর পদত্যাগ চাই।

সরকারি হোসেন আলী কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তী সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর তিনি বিভিন্ন সময়ে কলেজের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। তিনি প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে অনুপস্থিত। উনি কোথায় আছেন আমরা কিছুই জানি না। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে। আমরা তাঁর দ্রুত অপসারণ চাই।

কলেজটির চলতি অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা জিয়ারউর রহমান বলেন, সরকার পতনের পর থেকেই কোনো ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তী। ওনার কাছে অনলাইনের বিভিন্ন কার্যক্রমের ও লেনদেনের পাসওয়ার্ড থাকায় আমরা কলেজের কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারছি না।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তীর মোবাইল ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।

বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল করিম বলেন, অধ্যক্ষ বীরেশ্বর চক্রবর্তী অনুপস্থিত থাকায় পাঠদান ও কলেজের বিভিন্ন কাজে গতি ফিরিয়ে আনার জন্য নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

ইসমাইলের মৃত্যু: ডেলটা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ ৫ জন কারাগারে

অতিরিক্ত সচিব সেলিমের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

মির্জাপুরে রাতের আঁধারে নদীতীরের মাটি কাটায় ২ লাখ টাকা জরিমানা

সেকশন