নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস’ আইনে করা মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্দেশে বলা হয়েছে, অধিকতর তদন্ত করবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অথবা এর আগে এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
আজ সকালে মামলার বাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী আদালতে হাজির হয়ে নারাজি আবেদন করেন। আদালত তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
বাদী আদালতকে বলেন, তাঁর অভিযোগ সত্য এবং সুনির্দিষ্ট। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা সঠিকভাবে তদন্ত করেননি। মামলার নথিপত্রে যা আছে, তদন্ত কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদনে তার প্রতিফলন নেই এবং মিল নেই। কাজেই আরও তদন্তের প্রয়োজন। এর আগে ১৫ জানুয়ারি বাদী তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতকে জানান, তিনি নারাজি দেবেন।
নথি থেকে দেখা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোর্শেদ আলম খান গত ৪ জুলাই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম নথি চুরির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ কারণে রোজিনা ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হলো।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৭ মে দুপুরের পর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে রোজিনা ইসলামকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একজন উপসচিব তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’-এর ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছেন’, তার মধ্যে ‘টিকা আমদানি’-সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল।