নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুপুরের গরমের ঝাঁজ কমে এসেছে। সূর্যের আলো পরে আসছে। ততক্ষণে অবহেলায় পড়ে থাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এম্ফি থিয়েটারে এসে জুড়ে বসেছেন বেশ কিছু শ্রোতা। পাঁচ দিন ধরে টানা লোকজ সুরে ভেসেছে নগরের সন্ধ্যা। বাংলার নানা এলাকার লোক সংগীত উঠে আসে শিল্পীদের কণ্ঠে।
আজ বৃহস্পতিবার শেষ দিনে উত্তরের ভাওয়াইয়ার সুরে মজে উঠে নগরবাসী। গেরুয়া শাড়ি পরে মঞ্চে আসেন সুস্মিতা আক্তার। তাঁর কণ্ঠের ‘তোরসা নদীর উতাল পাতাল’ মুগ্ধ করে দর্শকদের। তিনি শেষ করেন ‘ধীকো ধীকো ধীকো মইশালরে’ গান দিয়ে।
এরপরে মঞ্চে আসেন শিল্পী সাহস মোস্তাফিজ। তিনি ভাওয়াইয়া গানের সঙ্গে ছোট করে বর্ণনা করেন গানের প্রেক্ষাপট। তিনি শোনান ‘প্রেম জানে না রসিক কালাচাঁন’ ও ‘তোমরা গেলে কি আসিবেন মোর মাহুত বন্ধুরে’।
রহিমা খাতুন পরিবেশন করেন ‘মন মোর কান্দে রে’ ও ‘আঙিনা সামটাং মুই আগলে দিগলে’। এরপর লুবানা ইয়সমিন দোয়েল পরিবেশন করেন ‘কি দিয়া বান্ধিয়া রাখব রে’ ও ‘চ্যাংড়া বন্ধু রসিয়া’ গান দুটি। ‘ও মোর কালারে কালা’ এবং ‘ও কী গাড়িয়াল ভাই’ গান দুটি পরিবেশন করেন ফাহমিদা রত্না।
প্রতিদিনই ছিল বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের লোক সংগীত, বাউল গান। ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, পল্লি, বাউল গানে জমে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। গত ১১ জুনও পরিবেশিত হয় বিখ্যাত শিল্পী বিজয় সরকারের গান। পরিবেশন করেন কিরন চন্দ্র রায় ও মনির বাউলা।
খালেক দেওয়ান, আব্দুল হালিম বয়াতি, দুরবিন শাহ-র মতো বাউল সাধক ও শিল্পীদের গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এ দেশের শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে শুরু থেকেই ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে।