নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর খিলক্ষেতে স্বামীর কাছ থেকে নববধূকে ছিনিয়ে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৭ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন আবুল কাশেম সুমন, পার্থ, হিমেল, রবিন, টুটুল, হৃদয় ও নুরু। এর মধ্যে আবুল কাশেম সুমন ওই নববধূর সাবেক প্রেমিক। বিকেলে ৭ আসামিকে আদালতে হাজির করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এনামুল হক খন্দকার প্রত্যেককে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন প্রস্টিটিউশন দপ্তর এর সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই তাহমিনা হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত শুক্রবার রাত থেকে ও শনিবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।
খিলক্ষেতের বনরূপা এলাকায় গত শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় মামলা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শুক্রবার রাতে খিলক্ষেতের এক আত্মীয়র বাসা থেকে নববধূ ও তাঁর স্বামী বিমানবন্দর এলাকায় ঘুরতে আসছিলেন। পথিমধ্যে বনরূপা এলাকায় সুমনসহ ছয়জন তাঁদের ধরে নিয়ে ঝোপের আড়ালে যান। সেখানে তাঁদের মারধর করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
একপর্যায়ে ওই নববধূর স্বামীকে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আসার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। ছাড়া পেয়ে স্বামী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেন। পরে খিলক্ষেত থানার টহল পুলিশ তাঁকে নিয়ে নববধূকে উদ্ধারে নামে। এদিকে সুমন ও তাঁর সহযোগীরা নববধূকে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকেন। তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। পরে গৃহবধুর স্বামীকে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। পুলিশ নববধূকে উদ্ধার করে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।