অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার সাভিয়ানগর গ্রামের সেই কমলা বেগম সরকারি ভাতা ও ঘর না পেলেও প্রতি মাসে ৪ হাজার টাকা করে পাবেন। এরই মধ্যে অমর্ত্য ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নভেম্বর মাসের টাকা পাঠিয়েছেন এক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। সেই কমলা এখন ভিক্ষে না করে স্বপ্ন দেখেন নিজস্ব ঘরের।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই প্রবাসীর পক্ষ থেকে শাড়ি, ওষুধ, শীতের কাপড় ও এক মাসের খাদ্যসামগ্রী কমলা বেগমের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামের দেওঘর ইউনিয়নের সাভিয়ানগর গ্রামের মৃত আমর উদ্দিনের স্ত্রী কমলা বেগম। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের মা। বড় মেয়ে ও নাতনির স্বামী মারা গেছে। ছোট মেয়ে কোনোরকমে চলেন। কমলার ভরণপোষণ করেন না ছেলেও। পাননি বয়স্ক বা বিধবা ভাতা।
জোটেনি গৃহহীন কমলার ভাগ্যে সরকারি ঘর। ফলে তাঁকে বেঁচে থাকার জন্য হাত পাততে হয় এর-ওর কাছে। কমলা বেগমের জীবন চলে গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ‘ভাতা কি বাজান মরণের পরে পামু’, ‘মরণের পর বয়স্ক ভাতা?’ ও ‘স্বামী নাই, ঘর নাই, তবু না পাই ভাতা, না পাই ঘর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সম্প্রতি সংবাদগুলো অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক ফজলুল বারীর প্রতিষ্ঠিত ‘অমর্ত্য ফাউন্ডেশনের’ মাধ্যমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী আজ চার হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। প্রতি মাসে সমপরিমাণ টাকা কমলা বেগমকে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন ওই প্রবাসী।
নতুন কাপড়, ওষুধ ও খাদ্যসামগ্রী পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন কমলা বেগম। এ সময় তিনি বলেন, ‘স্বামী মরার পর ভিক্ষা করে চলতাম। এইদিগে (সম্প্রতি) শরীর কোলায় না (শক্তি নেই), গ্যারামে না-গেলে খামু কি? খাইয়্যা না-খাইয়্যা থাহি। দোয়া করি, বাজান আল্লাহ তোমরার ভালা করুক। ও-বাজান মরণের আগে কি একটা ঘর পামু?’