মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী টাঙ্গাইলকে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছেন। ভাসানীর মতো নেতা টাঙ্গাইলে আছেন—এটা সারা বাংলাদেশের গর্ব। মওলানা ভাসানীর ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
আজ সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন মওলানা ভাসানী। ভাসানী না থাকলে এই বাংলাদেশের জন্ম হতো না। তিনি ছিলেন মজলুম জননেতা। এই ফারাক্কার বিরুদ্ধে তিনিই প্রথম গিয়েছেন।’
মওলানা ভাসানীকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘এটা চেনার অন্যতম উপায় হলো পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে। তাই মওলানা ভাসানীর ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ এর জন্য যদি মানববন্ধনেও দাঁড়াতে হয়, তাহলে তিনি অবশ্যই মানববন্ধনে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ফরিদা আখতার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশটা ইলিশ মাছের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। আমাদের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ আসে। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ চোরাচালান বন্ধে কোস্ট গার্ড, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য শক্ত অবস্থানে রয়েছে।’
টাঙ্গাইলের পূজা উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের নতুন বাংলাদেশে নিরাপদে সুন্দরভাবে পূজা উদ্যাপন হবে। সামাজিকভাবে পরিবেশ সৃষ্টি করে পূজায় সকলে মিলে আমরা আনন্দ করব। আগামী ১৪ তারিখ যেন ঘোষণা দিতে পারি টাঙ্গাইলের পূজা সবচেয়ে সুন্দর হয়েছে।’
এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল হাসান চৌধুরী, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. শিহাব রায়হান, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, জেলা পূজা পরিষদের সভাপতি চিত্তরঞ্জন সরকার, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টু প্রমুখ।