Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

দুর্যোগের সময় নিরাপত্তার অভাবে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চান না ৬৬ শতাংশ নারী: জরিপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্যোগের সময় নিরাপত্তার অভাবে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চান না ৬৬ শতাংশ নারী: জরিপ

দুর্যোগকালীন সময়ে   এবং যথাযথ সুবিধার অভাবে ৬৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী ও কিশোরী আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে খুব বেশি আগ্রহী না। আশ্রয়কেন্দ্রে তারা গোপনীয়তার অভাব বোধ করেন। 

আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে একটি অনুষ্ঠানে বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপের তথ্য তুলে ধরে একথা জানায়। 

এতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা অধিক পরিমাণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হন। বরিশাল, খুলনা, সাতক্ষীরা ও ভোলা অঞ্চলের ওপর এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। যেখানে উঠে এসেছে শিশুদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া, বাল্য বিবাহ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, জীবিকার অভাবসহ নানা দিক। প্রতিনিয়ত যেগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষেরা।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় এইসব অঞ্চলের অনেক নারী নীরবে যৌন সমস্যা নিয়েই জীবনযাপন করছেন, যা পরবর্তীতে বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। দুর্যোগকালীন সময়ে নিরাপত্তা এবং যথাযথ সুবিধার অভাবে ৬৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী ও কিশোরীরা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে খুব বেশি আগ্রহী না। 

গবেষণার তথ্য অনুসারে, মূলত দারিদ্র্য (৭৩ দশমিক ৪ শতাংশ) এবং জীবিকা হারানোর (৬৮ শতাংশ) মত বিষয়গুলো পারিবারিক ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার পেছনের মূল কারণ। সঙ্গীর দ্বারা সহিংসতার শিকার নারীদের মধ্যে শীর্ষে আছে সাতক্ষীরা অঞ্চল। অনেক ক্ষেত্রে দুর্যোগের পর দারিদ্র্যের কারণে জোরপূর্বক গর্ভপাতের শিকারও হচ্ছেন নারীরা।

দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলে হাসপাতাল থাকলেও পর্যাপ্ত সেবার সুযোগ না থাকায় অনেকেই চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এসব অঞ্চলের ৭৪ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ সঠিক সময়ে চিকিৎসা পান না। নেপথ্য কারণ হিসেবে দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ সময়ে দুর্যোগের কারণে হাসপাতাল বন্ধ থাকে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা গত কয়েক বছরে আরও অনেক বেড়েছে। এরই সঙ্গে বেড়েছে জলাবদ্ধতা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাসহ আরও অনেক ধরনের সমস্যা।

প্রতিবেদন তুলে ধরনে প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে মায়েদের জন্য আমরা শিশুদের দুধপান করানোর আলাদা ব্যবস্থা করেছি। আমরা দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোয় সহনশীল অবকাঠামো তৈরি করছি, যেন সেগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।’

আইআরসির কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিনা রহমান বলেন, ‘উদ্যোগগুলো যেন সবার কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়।’

গবেষণা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি)-এর প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘দুর্যোগে প্রাণহানির সংখ্যা কম হলে আমরা সেটাকে সাফল্য হিসেবে ধরে নেই, কিন্তু যেই মানুষগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে, তাদের অধিকার সম্পর্কে আমরা এখনো সচেতন নই। আমাদের এই বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।‘

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইআরসির হেড অফ কমিউনিকেশন সাবিরা সুলতানা নুপুর। প্যানেল আলোচনার উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিনা রহমান।

জনবলসংকটে অলস আইসিইউ

বাহারি খাবারে সেজেছে বেইলি রোডের ইফতার বাজার

দক্ষিণখানে ওভারটাইমের টাকা কম দেওয়ায় নিপা গার্মেন্টসে ভাঙচুর, আহত ৬

খারাপ প্রকৃতির মানুষকে ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান

হাতের টানেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

জোরপূর্বক মানুষের ফসলি জমি কেটে মাছের খামার তৈরি, যুবদল নেতা আটক

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্যসহ ৪ শিক্ষকের নামে মামলা

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: বিক্ষোভের মুখে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত

নারীর প্রতি সহিংসতা-নিপীড়নের প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন