সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যক্তিদের অর্থ রাখার বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ গত ১৭ জুনও চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার হাইকোর্টে বিএফআইইউর জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএফআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইস ব্যাংক চলতি বছরের ১৬ জুন বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আর ১৭ জুনই এগমন্ড সিকিউর ওয়েবের (ইএসডব্লিউ) মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যাংক ও ব্যক্তির জমানো অর্থের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের জন্য সুইজারল্যান্ডের এফআইইউকে (ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট) অনুরোধ করা হয়। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পায়নি বাংলাদেশ।
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধ, অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য বিএফআইইউ বিদেশি এফআইইউদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে।
২০১৩ সালের জুলাইতে ইএসডব্লিউর সদস্য হওয়ার পর চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ৬৭ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বাংলাদেশ তথ্য চেয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা করা অর্থের তথ্য সম্পর্কে সরকার কেন জানতে চায়নি সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। ঢাকায় সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ডের বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নজরে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রোববারের মধ্যে সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আদালত নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী আজ প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
তার আগে ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিক্যাব টকে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, অর্থ জমা করার বিষয়ে তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকার কোনো অনুরোধ করেনি।