ডিবি পরিচয়ে মাদারীপুরের টেকেরহাট বন্দর থেকে ব্যবসায়ীকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। মাঝপথে মারধর করে পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে অডিও বার্তা পাঠিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গোলাপগঞ্জ থেকে মাইক্রোবাসসহ ছয় অপহরণকারীকে আটক করে। এ সময় অপহৃত ব্যবসায়ীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে রাজৈর থানায় মামলার পর আজ বুধবার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরে ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন–পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ডুমজুরি গ্রামের সোহেল হাওলাদার (৩২), একই গ্রামের তালেব খান (২৯), সবুজ গাজী (৪০), চিলপাড়া গ্রামের মিরাজ শরীফ (৩৫), বড় বিড়ালঝুড়ি গ্রামের খাইরুল ইসলাম হাওলাদার (৩৮), পাড় সাতুরিয়া গ্রামের রুবেল খলিফা (৪৫)।
আজ (বুধবার) মাদারীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান জেলা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী কাজল ভূঁইয়া মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে পাইকারি কাপড় কিনতে আসেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরে। বাসস্ট্যান্ড থেকে নেমে বন্দরে প্রবেশের সময় ডিবি পরিচয়ে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তোলা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। পরে তাকে মারধর করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই ও অপহরণের কাজে লিপ্ত। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ছয়জন আটক হলেও এই চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে।’
ভুক্তভোগী কাপড় ব্যবসায়ী কাজল ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টেকেরহাট বন্দর থেকে আমাকে ডিবি পরিচয়ে তারা মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। আমি চিৎকার করলে আমাকে গুলি করে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। আমি মাইক্রোবাসের মধ্যে আতঙ্কে ছিলাম। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।’