মৃত্যুর আগপর্যন্ত আর কোনো রাজনীতি না করার অঙ্গীকার করেছেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও মোহনা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ মজুমদার।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালতে শুনানির সময় এই অঙ্গীকার করেন তিনি।
রাজধানীর কাফরুল থানায় করা আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি হয় আজ।
শুনানির সময় কিছু বলার অনুমতি চান কামাল মজুমদার। আদালত অনুমতি দিলে তিনি বলেন, ‘আমি মৃত্যুর আগপর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করব না। রাজনীতি থেকে ইস্তফা দিলাম। আমি আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। এখন থেকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করলাম।’
কামাল মজুমদার আরও বলেন, ‘আমার ৭৬ বছর বয়স। আমার চোখে সমস্যা। ৭০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। আমার পরিবার সম্পর্কে কোনো খোঁজখবর নিতে পারছি না।’
এ সময় তিনি ডিজিটাল কোরআন শরিফ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ চান।
কামাল মজুমদার বলেন, ‘কারাগারে ডায়াবেটিস চেক করার জন্য ডিজিটাল কোনো যন্ত্র বা ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি কোরআন শরিফও দেওয়া হয়নি। একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। নির্যাতন করা হচ্ছে। এই বয়সে আমার ওপর জুলুম চালানো হচ্ছে। আল্লাহকে ডাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই। এ জন্য আমি আপনার কাছে (বিচারকের কাছে) অনুরোধ করছি, ডায়াবেটিসের ওষুধ, ডায়াবেটিস মাপার ডিজিটাল যন্ত্র এবং ডিজিটাল কোরআন শরিফ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।’
এসব কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন কামাল আহমেদ মজুমদার।
এ সময় বিচারক বলেন, ‘আপনার যেসব দাবি আছে তা আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত আবেদন করুন।’
পরে আদালত আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় কামাল মজুমদারসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে প্রত্যেককে আবার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও খবর পড়ুন: