বাইডেনের উপদেষ্টা–কাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারাগারে থাকা ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন অসুস্থ হওয়ায় আদালতে হাজির করা হয়নি। যে কারণে আজ তাঁর রিমান্ড শুনানিও হয়নি। ১০ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ১৩ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন এই তারিখ ধার্য করেন।
আজ রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। ইশরাক হোসেনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনাও ছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ বিধায় কারাগার থেকে হাজির না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
ইশরাক হোসেনের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রসিকিউশন পক্ষ আদালতকে জানিয়েছে ইশরাক অসুস্থ, তাই তাঁকে আদালতে উপস্থিত করা সম্ভব হয়নি। পরে আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।’
এর আগে গত সোমবার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কবির হোসেন ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। ১৯ মে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন ইসরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ওই দিন আত্মসমর্পণ করে এই মামলায় জামিন আবেদন করেন ইশরাক। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বছর ২৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন গোপালগঞ্জের বাসিন্দা মহিউদ্দিন শিকদার। মামলায় বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরেফী, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও মিয়া আরেফীকে সাজিয়ে আনা চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দীকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছর ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতা–কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতা–কর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।
সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বেলা ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। বিএনপির এই কর্মকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ জন নেতা–কর্মী বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরেফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন। উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে আরেফী জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেন।