বেলা ১১টা থেকে বেলা আড়াইটা। ঢাকার প্রবেশমুখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে স্বাভাবিক যান চলাচল। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সাইনবোর্ড, চিটাগং রোড, কাঁচপুর, মেঘনা টোল প্লাজায় বিএনপির অবস্থান করার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। মহানগর বিএনপি সড়কে আসার চেষ্টা করলেও মাত্র পাঁচ মিনিটেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা।
বেলা সাড়ে ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল আবাসিক এলাকা থেকে ডাচ্-বাংলা মোড়ের দিকে মহানগর বিএনপি মহাসড়কে উঠতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে লাঠিপেটা ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। পাল্টা জবাবে ইটপাটকেল ছুড়লেও পুলিশের বাধার মুখে টিকতে পারেনি তারা। আটক করা হয় মহানগরের আহ্বায়কসহ পাঁচজন বিএনপি নেতাকে।
আজ এই এলাকায় জেলা বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীকে দেখা যায়নি। সোনারগাঁয়েও উপজেলা বিএনপি অবস্থান নিতে পারেনি মহাসড়কে। একইভাবে নারায়ণগঞ্জ গণতন্ত্র মঞ্চ এবং গণ অধিকার পরিষদের উপস্থিতিও ছিল শূন্য।
তবে মহাসড়কে অবস্থান রেখেছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। সাইনবোর্ড এলাকায় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নিজাম ও যুবলীগ নেতা সাজনুর নেতৃত্বে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ। চিটাগাং রোডে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ এবং কাঁচপুরে সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সরব উপস্থিতি ধরে রাখেন।
দলীয় অবস্থানের বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের আটজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলির মুখে নিরস্ত্র জনতা দাঁড়াতে পারেন না। আমরা কেন্দ্রের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।’