মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা এলাকার শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ‘সান্ধ্যকালীন হোম ভিজিট’ শুরু করেছেন। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর তিনি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছুটে যাচ্ছেন।
এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য শিক্ষার্থীদের মনোবল বাড়াতে এবং ভালো ফল অর্জনে তারা কীভাবে আরও মনোযোগী হতে পারে, সে বিষয়ে পরামর্শও দিচ্ছেন প্রীতম সাহা। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলে দিচ্ছেন।
মার্চের শুরু থেকে এই কার্যক্রম শুরু করেছেন গাংনীর ইউএনও। তিনি নিজ দায়িত্ববোধ থেকে গাংনী উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছেন। এর মাধ্যমে তিনি শুধু শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করছেন না, অভিভাবকদেরও সন্তানদের সহযোগিতা করতে পরামর্শ দিচ্ছেন।
গাংনী উপজেলার সচেতন মহল, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ইউএনওর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। এসএসসি পরীক্ষার্থী রিমি খাতুন বলে, ‘কখনো ভাবিনি যে ইউএনও স্যার আমাদের কাছে এসে পড়ালেখার খোঁজ নেবেন। এ জন্য আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।’
এসএসসি পরীক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন জানায়, ‘ইউএনও স্যারের উপহার এবং উৎসাহ আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। ইনশা আল্লাহ, আমরা তাঁর উৎসাহের মাধ্যমে আরও ভালো অর্জন করতে পারব।’
মোছা. জুলেখা খাতুন নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের সন্তানের পড়াশোনায় উৎসাহ জোগাবে। আমরা এর জন্য ইউএনও স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
ডিজেএমসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ কখনো দেখিনি। স্যারের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।’
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে মোবারক বলেন, ‘ইউএনও স্যারের উদ্যোগ আমাদের জন্য বড় একটি অনুপ্রেরণা। তিনি নিয়মিত রাত ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শুধু প্রশাসনিক দায়িত্বই পালন করছি না, শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। আশা করছি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পড়াশোনার মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে।’