কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকরি করে বানিয়েছেন তিন কক্ষবিশিষ্ট দোতলা পাকা বাড়ি। পরিবার–পরিজন নিয়ে চলছিল বেশ। তবে চাকরি থেকে মাদকের কারবার লাভজনক, তাই চাকরি ছেড়ে শুরু করেন মাদকের কারবার।
কিন্তু এই কারবার শুরুর তিন মাসের মধ্যেই যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার হলেন তিনি। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা থেকে আজ বুধবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৬৮টি ইয়াবা জব্দ করা হয়।
ওই যুবকের নাম কামরুজ্জামান কাজল (২৭)। তিনি একই এলাকার হাসান আলীর ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত উপজেলার সদকী ইউনিয়নের বাটিকামারা এলাকায় তাঁর বাড়িতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩৪ সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ৬৮টি ইয়াবা জব্দ করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. বেলাল হোসেন।
মো. বেলাল হোসেন বলেন, কাজল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করতেন। লোভে পড়ে প্রায় তিন মাস আগে চাকরি ছেড়ে তিনি মাদকের কারবার শুরু করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে আটক করা হয়। পরে কুমারখালী থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাজল এ কথা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, কাজলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।