যশোরের কেশবপুর সাগরদাঁড়িতে মধুমেলার তৃতীয় দিন সকাল থেকে দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড়। আজ শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে মধুমেলা। দর্শনার্থীরা মধুপল্লি, কবির স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদের পাড়, বিদায় ঘাট, বুড়ো কাঠবাদামগাছের তলা, কবির আবক্ষ ভাস্কর্যসহ মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে বেড়ান। সন্ধ্যায় মেলার মধুমঞ্চে কেশবপুর ও যশোর শিল্পীগোষ্ঠীর পাশাপাশি দেশবরেণ্য শিল্পীদের পরিবেশনাসহ প্যান্ডেলে সার্কাস, জাদু প্রদর্শনী উপভোগ করেন তাঁরা।
কবি ও মধুসূদন গবেষক খসরু পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাঙালির দুটি ঈদ ও পূজা মিলে যে তিনটি উৎসব রয়েছে, সবকিছু ছাড়িয়ে যায় মধুমেলা উৎসবে। প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে এসেছেন আত্মীয়স্বজন। দাওয়াত দেওয়া হয়েছে মেয়ে-জামাইসহ বন্ধুবান্ধবকে। লাখো দর্শনার্থীর পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে মধুমেলা। মধুমেলার মধ্য দিয়ে মধুসূদনের দেশপ্রেম ও চেতনা জাগ্রত করতে পারি।’
এ ছাড়া আজ মেলার মধুমঞ্চে যশোরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক হুসাইন শওকতের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর। বিশেষ অতিথির ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. সাবিনা ইয়াসমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা ও যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২৫ জানুয়ারি থেকে যশোরের কেশবপুর সাগরদাঁড়িতে মধুমেলা শুরু হয়। ৩১ জানুয়ারি মেলা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।