বেনাপোল-খুলনা-মোংলা রুটে ৫৪৯ জন যাত্রী নিয়ে প্রথম ‘মোংলা কমিউটার’ ট্রেন চালু হয়েছে। কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই আজ শনিবার সকাল ১০টায় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। এর মধ্যে ৩৭ জন মোংলার যাত্রী রয়েছেন।
যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে এবার বেনাপোল-মোংলা রেলপথে আজ থেকে যাত্রীসেবা শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। আপাতত দিনে একটি ও সপ্তাহে ছয় দিন রেল চলবে এই পথে। পরবর্তী সময়ে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী রেলের সংখ্যা বৃদ্ধি ও পণ্য পরিবহনে বাণিজ্য সেবা চালু করবে রেল বিভাগ।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেনাপোল ও মোংলা বন্দরের গুরুত্ব বিবেচনা করে মোংলা কমিউটার চালু হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এই পথে বাণিজ্যসেবা দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল। মোংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারেও বেশ আগ্রহ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। এ দুই পথে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল, সড়ক ও নৌপথে রয়েছে যাত্রী ও বাণিজ্যসেবা। এ ছাড়া দর্শনীয় স্থান ঘুরতেও অনেকে বেনাপোল-মোংলা রুট ব্যবহার করে থাকে। এই রুটে যাত্রীসেবা বাড়াতে ব্যবসায়ী ও পাসপোর্টধারীদের দাবির মুখে রেল কর্তৃপক্ষ বেনাপোল-খুলনা-মোংলা রুটে এই ট্রেন চালু করেছে।
ট্রেন চলাচলের জন্য ৪ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয়ে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন রেলপথ এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। নতুন এই রুটে ‘মোংলা কমিউটার’ নামে একটি ট্রেন চলাচল করবে। খুলনা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত চলাচল করে বেতনা এক্সপ্রেস নামের একটি লোকাল ট্রেন। সেই ট্রেন ফেরার পথে খুলনার ফুলতলা জংশন থেকে মোংলার দিকে যাত্রা করবে, তখন ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ট্রেনটি মোংলা কমিউটার নাম ধারণ করে চলবে। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে বেনাপোল থেকে মোংলা মাত্র ৮৫ টাকা।
পাসপোর্টধারী যাত্রী মিনতি রানি বলেন, ‘আগে বেনাপোল থেকে মোংলায় বাসে যেতে চার ঘণ্টা লাগত। ভাড়া গুনতে হতো ৩৫০ টাকা। এখন রেলে বেনাপোল থেকে মাত্র ৮৫ টাকায় যেতে পারব মোংলায়। রেলসেবায় সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে আমাদের।’
বেনাপোল বন্দরের ব্যবসায়ী নেতা আমিনুল হক বলেন, বাণিজ্যিক কারণে মোংলা বন্দরে যেতে হয়। তবে যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না থাকায় দ্রুত পণ্য খালাসের কাজে বিঘ্ন ঘটত। এখন রেলসেবা চালু হওয়ায় দ্রুত পণ্য খালাসে সহায়ক হবে।