যশোরের কেশবপুরে গত দুই দিনে কুকুরের কামড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সীরা রয়েছে। ১৫ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।
আজ বুধবার সকালেই ঘর থেকে বেরিয়ে কুকুরের কামড়ে সাতজন আহত হন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে বুধবার সকালে উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের আব্দুল কাদের (৫০), আবু তালেব (৩৫), চায়না বেগম (৪০), আব্দুল আজিজ (৫২), উত্তম কুমার সাহা (৬৬), উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামের জলিল প্রফেসর (৮০) ও বগা গ্রামের রাশিদা বেগম (৬২) চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ছাড়া মঙ্গলবার ভোগতী গ্রামের আবু হুরাইরা (৪), বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোবারেক মোড়ল (৭০), মধ্যকূল গ্রামের সুভাষ সরকার (৫০), রামচন্দ্রপুর গ্রামের নরীম মোড়ল (৭০), খুকিবিবি (৭০) ও মুজগুন্নি গ্রামের আতিয়ার রহমান (৩৫) চিকিৎসা নেন।
উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আবু সাঈদ বলেন, দাদা নরীম মোড়লকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে একটি কুকুর আক্রমণ করে। কামড়ে মারাত্মক আহত করলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উপজেলার মধ্যকূল গ্রামের ট্রাকচালক আব্দুল কাদের বলেন, বুধবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় ওঠামাত্র হঠাৎ একটি কুকুর ডান পায়ে এসে কামড় বসিয়ে দেয়। এই গ্রামের অনেককেই কুকুরে কামড়ানোয় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মধ্যকূল গ্রামের বৃদ্ধ উত্তম কুমার সাহা বলেন, ‘সকালে হাঁটতে বের হলে একটি কুকুর পেটের ডান পাশে কামড় দিয়ে মারাত্মক জখম করে। আহত অবস্থায় হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, ‘গত দুই দিনে কুকুরের কামড়ে আহত ১৫ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মারাত্মক আহত এক বৃদ্ধকে যশোরে স্থানান্তর করা হয়। সম্প্রতি এক দিনে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে এত ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেনি।’ তিনি সবাইকে সাবধানে চলাফেরা করার আহ্বান জানান।