Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > খুলনা

যবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ৮, প্রক্টর অসুস্থ

­যশোর প্রতিনিধি

যবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ৮, প্রক্টর অসুস্থ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি : সংগৃহীত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষার্থীসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রক্টর আমজাদ হোসেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি চায়ের দোকানে গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির জেরে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে তা সংঘর্ষের রূপ নেয়। পরে দিবাগত রাত ২টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় আজ শনিবার বিকেলে যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় ডিনস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাফিরুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের সামনে একটি চায়ের দোকানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেমিক্যাল প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাদেকা শাহানী ঊর্মির সঙ্গে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী স্বপনের ধাক্কা লাগে। স্বপন এ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন। পরে প্রধান ফটকের সামনে সাদেকার বন্ধুরা সিএসই বিভাগ নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। তখন কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী সাদেকার বন্ধু ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিব আহমেদ শানকে ডেকে নেয়। এটা দেখে সাদেকা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীদের ফোন দিয়ে ডেকে জড়ো করেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করতে সেখানে হাজির হন প্রক্টর আমজাদ হোসেন। উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে রক্তচাপ বেড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ছাড়া সংঘর্ষে আহত উভয় পক্ষের আটজনের মধ্যে চারজনকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে আজ বিকেলে যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সাদেকা শাহানী ঊর্মি বলেন, ‘অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিবকে বহিষ্কারের সূত্র ধরে ক্যাম্পাসে মারামারি হয়েছে। ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ধারণা করছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই অধ্যাপক ড. গালিবকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম এস লিমন বলেন, ‘ঊর্মি আপুর সঙ্গে ঘটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য সরি বলায় ওখানেই মিটে গেছে। কিন্তু পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে হাবিব আহমেদ শান ভাই কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষ বেধে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব স্যারের বহিষ্কারের বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ জন্য বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা শুক্রবার দুপুরে প্রতিবাদ করেছি। গালিব স্যারের বহিষ্কারের প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর তাঁরা ক্ষুব্ধ ছিল।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমার ধারণা, এই সংঘর্ষের নেপথ্যে ড. গালিবের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি থাকতে পারে। তা না হলে শুধু চায়ের দোকানে দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তুচ্ছ কথা-কাটাকাটির ঘটনায় ক্যাম্পাসে এত বড় সংঘর্ষ হওয়ার কথা নয়।’

যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মজিদ বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৌলতপুরে ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

দর্শনায় একের পর এক বোমার মতো বস্তু

সাতক্ষীরায় মাটির দেয়াল চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু

দখলদারদের লোভে খুলনা বিভাগের ৩৭টি নদী সংকটাপন্ন

মাগুরায় ধর্ষণে শিশুর মৃত্যু: দ্বিতীয় দিনেও আসামির বাড়িতে ভাঙচুর, কেটে নেওয়া হচ্ছে গাছ

সুন্দরবনে ২৮ কেজি হরিণের মাংসসহ আটক ১

দৌলতপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাগুরার শিশুটির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

সড়কে শ্যালোইঞ্জিন যানের মরণফাঁদ

দৌলতপুরে সেনা অভিযানে ভারতীয় পিস্তল উদ্ধার