ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
পরিত্যক্ত ধানের চাতালকে করা হয়েছে ভোটকেন্দ্র। নেই পানি ও টয়লেটের সুব্যবস্থা। এতে ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা লোকজন ও ভোটাররা বিভিন্ন অসুবিধায় পড়ছেন। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে একটি কেন্দ্রে এভাবে ভোট গ্রহণ চলছে।
ভোটকেন্দ্রটি করা হয়েছে গদখালী ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জাফরনগর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের পরিত্যক্ত ধানের চাতালে। আজ শনিবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই ওয়ার্ডে ১ হাজার ৮৮২ জন ভোটার রয়েছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, জাফরনগর গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় আব্দুল হাইয়ের পরিত্যক্ত ধানের চাতালের ভেতরে একটি কক্ষে পাঁচটি বুথ তৈরি করে ভোট নেওয়া হচ্ছে। ওই কক্ষের একটি দরজা থাকায় নারী-পুরুষের আসা-যাওয়ায় বেশ সমস্যা হচ্ছে।
ভোট দিতে আসা আক্তারুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে কী ভোট দেওয়া সম্ভব? কী আর করার আছে?’
জাফরনগর গ্রামের ফকরে আলম দুদু বলেন, ‘এই মৌজার ভেতরে কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় এখানে ভোট গ্রহণ করা হয়। নিকটবর্তী প্রতিষ্ঠানগুলো ভিন্ন মৌজায় হওয়ায় প্রশাসন এখানে ভোটকেন্দ্র করে থাকে।’
নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত মকলেসুর রহমান নামের পুলিশের এক সদস্য বলেন, ‘ফাঁকা মাঠের ভেতরে কোনো দোকানপাট না থাকায় এই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সবার অসুবিধা ভোগ করতে হচ্ছে।’
জাফরনগরের ১ হাজার ৩৮০ ও ইউসুফপুরের ৫০২ জন ভোটারের ভোট চাতালের ওই কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দুই প্রার্থীর বাড়ি এই গ্রামে, তাই অন্যান্য কেন্দ্রের চেয়ে এখানে উপস্থিতি বেশি। কিন্তু পরিত্যক্ত এই চাতালে পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় কর্মকর্তাসহ দায়িত্বে থাকা লোকজনের বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৌমেন বিশ্বাস ছন্দ বলেন, ‘জাফরনগর-ইউসুফপুর ওয়ার্ডে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় ধানের চাতালে ভোটের কেন্দ্র করা হয়েছে। নিকটবর্তী যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলো অন্য মৌজায়।’