মেহেরপুর প্রতিনিধি
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেনের রিমান্ড শুনানি হয় দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরুর আগেই। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে সাবেক মন্ত্রীকে মেহেরপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন নাহারের আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে করা একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে কারা ফটকে রিমান্ড গ্রহণের আদেশ দেন।
এত সকালে এই অভিযুক্তকে কোর্টে নেওয়ার কারণে রিমান্ড শুনানির পক্ষে বক্তব্য পেশ করার জন্য কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। অথচ রিমান্ডের বিরোধিতা করে আদালতে মন্ত্রীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম শাহিন।
মেহেরপুর আদালতের পিপি আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমিও জানতাম না। আমাকে সকালে আদালতে ডেকে নেওয়া হয়।’ এভাবে গোপনীয়তা রক্ষা করে শুনানির প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আদালতের বিষয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে হাসিমুখে এই মন্ত্রী আদালতে আসেন। ৫-৭ মিনিটের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম শেষ হলে আবার তাঁকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গতকাল বুধবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এই মন্ত্রীকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মেহেরপুর নেওয়া হয়। মেহেরপুরে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা ও সন্ত্রাসী ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে মামলা রয়েছে।
রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠানকে নিরাপদ করতে আদালত চত্বরসহ পুরো শহরে শত শত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
মেহেরপুর আইনজীবী সমিতির সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, বর্তমান পিপি আবু সালেহ নাসিমের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা মৃত জাহাঙ্গীর হোসেন বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ প্যানেল থেকে মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।
তবে পিপি আবু সালেহ নাসিম বলেন, ‘আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি ১৪ বছর জেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা বাবা কী করেছেন, তা আমি জানি না।’