মাগুরায় ২০টি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে অবরুদ্ধ করার অভিযোগে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। ইউএনও’র হস্তক্ষেপে পরিবারগুলো চলাচলের রাস্তা ফিরে পেয়েছে।
নিম্ন আয়ের ২০টি পরিবারের লোকজনের চলাচলের একমাত্র রাস্তা আটকে দিয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় প্রভাবশালী সিদ্দিকুর রহমান। অভিযোগ পেয়ে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল পুলিশ পাঠিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করেন।
বুধবার বিকেলে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মৌশা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অবরুদ্ধ পরিবারগুলোর একজন সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ইজিবাইক চালাই। সকালে বাড়ি থেকে বের হতে চাইলেও পারিনি। আমাদের পথ আটকে রাখা হয়েছে।’
সালিমুল নামে অপর এক ভ্যান চালক বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান সকালবেলা বাঁশ দিয়ে পথ আটকে দিয়েছে। আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটা। ভ্যান নিয়ে বের হতে না পারলে আমাদের আয় বন্ধ। সিদ্দিকুর প্রায়ই এ কাজ করে। সে রাস্তায় পুকুর কাটারও হুমকি দিয়েছে।’
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার পাশে সিদ্দিকুর রহমানের জমি আছে। একটু কাদা পানি জমলে ভ্যান ও ইজিবাইক চালকেরা তাঁর জমির ওপর দিয়ে যায়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। তখন রাস্তা বন্ধ করে দেন।
অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘নিজের জমির ওপর দিয়ে আমি কারও পথ করে দিতে পারি না। তাই আমি রাস্তা আটকে দিয়েছি।’
ইউএনও রামানন্দ পাল জানান, ‘বিষয়টি শুনেই পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন আর সমস্যা নেই।’