কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কলারোয়া শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আজ বুধবার সকালে উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের খালপাড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোখলেছুর রহমান।
নিহতের গৃহবধূর নাম—রানু বেগম (৩০)। তিনি কলারোয়া পৌর সদরের গদখালী গ্রামের মুজিবুর রহমানের (৩৫) স্ত্রী। মুজিবুর রহমান পৌর সদরের গদখালী গ্রামের ইমান আলীর ছেলে।
নিহত গৃহবধূর মা বেলফুল বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৬ বছর আগে মুজিবুরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। সে বাড়িতে ঘরজামাই থাকত। তাদের ১৪ বছর বয়সী একটি ছেলেও রয়েছে। আজ সকালে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে লোহার শাবল দিয়ে রানুর মাথায় বাড়ি মেরে পালিয়ে যায় মুজিবুর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমির বাড়ির বাইরে ছিলাম। প্রতিবেশীরা মেয়ে আর জামাইয়ের ঝগড়া কথা জানালে তাৎক্ষণিক বাড়ি গিয়ে দেখি, আমার মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগীয় রানুকে দ্রুত কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক জানায় রানু মারা গেছে।’
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছেন। নিহতের পরিবার থেকেও এখনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। তবে নিহতের স্বামীকে আটকের চেষ্টা চলছে।’