রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মাগুরার রেলপথ শুধু মাগুরা পর্যন্ত হবে না, এটি কানেক্ট করবে কালীগঞ্জ না হয় ঝিনাইদহ পর্যন্ত। এখন সম্প্রসারণ কাজে মাগুরার মানুষ যদি জমি জাতি নিয়ে পিছায় দেয়, তবে এ জন্য দায়ী করব বীরেন দাকে, (এমপি শ্রী বীরেন শিকদার) জনপ্রতিনিধি ও ডিসি সাহেবকে।’
আজ শনিবার মাগুরা রামনগর ঠাকুর বাড়ী এলাকায় নবনির্মিত ব্রডগেজ রেলপথ প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘মধুখালী থেকে কামারখালি হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে মাগুরার অংশে আমরা জমি অধিগ্রহণ শেষ করেছি। এ এলাকায় রেলপথ বাস্তবায়িত একটি স্বপ্নে দ্বার উন্মোচন হবে। মাগুরার মানুষ রেলপথে বিভিন্ন স্থানে সহজেই যেতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এ রেলপথকে সম্প্রসারিত করতে চাই। মাগুরা হয়ে এ রেলপথ যাবে ঝিনাইদহ অংশের কালীগঞ্জ সীমান্তে। ইতিমধ্যে মাগুরার অংশে রেলপথ ব্রিজের প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয়ভাবে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, তা অল্প দিনের মধ্যে শেষ হবে।’
এ সময় সংসদ সংসদ অ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পুলিশ সুপার মো. মশিউদৌলা রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুমার কণ্ডু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রানা আমীর ওসমান, শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শরীউল্লাহ হোসেন মিয়া রাজন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০১৮ সালে চার বছর মেয়াদি এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০২২ সালের ২ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ের মধুখালী থেকে কামারখালি হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত নতুন রেলপথের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।