ছয় মাস আগে পরিবারের কাছে আবদার করে কিনে নেয় মোটরসাইকেল। সেই মোটরসাইকেলে বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরের ইমরান হোসেন (১৬) নামের এক কিশোর। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে তার বন্ধু আলিফ হোসেন (১৫)।
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার বেগমপুর গ্রামের কোটালি মাঠ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ইমরান দর্শনা থানার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঝড়ি বেগমপুর গ্রামের হাটপাড়ার প্রবাসী ইকরামুল ইনলামের ছেলে এবং হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। আহত আলিফ একই এলাকার মিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই ভাই-বোনের মধ্যে ইমরান ছোট। ছয় মাস আগে ইমরান বায়না ধরে মোটরসাইকেলের। পরে ছেলের আবদার রাখতে মোটরসাইকেল কিনে দেন তার মা। এরপর থেকে ইমরান মোটরসাইকেল নিয়ে গ্রামের মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াত। বিকেলেও ইমরান বন্ধু আলিফকে নিয়ে গ্রামের মধ্যে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরছিল। গ্রামের কোটালি মাঠের মধ্যে পৌঁছালে ইমরান মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার মোড়ের বটগাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে সে ও আলিফ গুরুতর জখম হলে স্থানীয়রা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ইমরানকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ইমরানের চাচাতো ভাই রাসেল আলী বলেন, ‘মোটরসাইকেলের শখ তার অনেক দিনের। অনেক বায়না করে ইমরান পাঁচ-ছয় মাস আগে মোটরসাইকেলটি কিনেছিল। সে মোটরসাইকেলটির অনেক যত্ন নিত। খুব কাছের না হলে তার মোটরসাইকেল কাউকে চালাতে দিত না। কখনো ভাবতেও পারিনি শখের মোটরসাইকেলেই ইমরানকে জীবন দিতে হবে।’
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবির বলেন, ‘দর্শনা থানাধীন বেগমপুর গ্রামে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক কিশোরের মৃত্যুর বিষয়ে জেনেছি। মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’