গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
প্রতি মৌসুমেই জমে ওঠে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর মরিচের বাজার। বিভিন্ন গ্রাম থেকে চাষিরা মরিচ নিয়ে আসেন এই বাজারে। এক সময় মরিচ বিক্রির প্রধান কেন্দ্র ছিল দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ। কিন্তু বিদ্যালয়ে প্রাচীর দেওয়ার কারণে মাঠে আর বসতে পারে না বাজার। এ বাজারের সাপ্তাহিক হাট বৃহস্পতি ও রোববার। কিন্তু মরিচের মৌসুম হওয়ায় প্রতিদিনই মূল বাজার থাকা সত্ত্বেও রাস্তার ওপর বসছে হাট। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
স্থানীয়রা বলেন, প্রতিদিন দেবীপুর বাজারে মরিচের হাট বসে। বাজারে নির্দিষ্ট বসার জায়গা থাকা সত্ত্বেও তারা রাস্তার ওপরেই বেচা-বিক্রি করে। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় রাস্তায় চলাচল করা মানুষদের। যানবাহনে আতঙ্কের মধ্যে চলতে হয়। কখন কোনো দুর্ঘটনা ঘটে এ নিয়ে আতঙ্কিত থাকে মানুষ। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়তে হয়। তবে এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের বলেও কোনো কাজ হয় না। রাস্তার ওপর হাট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।
হাড়ভাঙ্গা গ্রামের হাসেম আলী বলেন, ‘দেবীপুরে মরিচের বাজার অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু রাস্তায় হাট বসানোর কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় মানুষদের। দেবীপুর বাজার কর্তৃপক্ষ যদি এটা সমাধান না করে তাহলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ দেবীপুর বামন্দী একটি ব্যস্ততম সড়ক। তাই রাস্তার ওপর বাজার বসানো বন্ধ করে জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা লিটন আহমেদ বলেন, ‘মরিচের বাজারটি রাস্তা সংলগ্ন হওয়ার কারণে রাস্তার ওপরে লোকজন চলে আসে। অনেক সময় যানজটেরও সৃষ্টি হয়। এতে ট্রাক-ভ্যান অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে ভোগান্তি পড়তে হয়।’
দেবীপুর হাট ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা নির্দিষ্ট বাজারেই মরিচ ক্রয় করি। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী আছে রাস্তার ওপর চলে যায়। আমরা আশ্বস্ত করছি রাস্তার ওপর হাট বসতে দেওয়া হবে না।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসব এবং তাদের নির্দেশনা দেব যাতে রাস্তার ওপর হাট বসিয়ে কেউ যানজট সৃষ্টি না করে। তা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদেরও আমরা বিষয়টি জন্য জানাব এসব দেখভালের জন্য।