কেশবপুরে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানিসহ ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে গতকাল মঙ্গলবার মাদ্রাসা থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট উপজেলার রামচন্দ্রপুর পাঁচপীর দরগা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায় একই মাদ্রাসার এক ছাত্রী। সেদিন ওই শিক্ষকের কাছে অন্য শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট পড়তে না আসায় তাকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানিসহ ধর্ষণচেষ্টা করেন ওই শিক্ষক। ওই ছাত্রী বাড়িতে ফিরে গিয়ে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানায়। এরপর ঘটনার উল্লেখ করে ওই ছাত্রীর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার অলিয়ার রহমানের কাছেও মৌখিকভাবে জানানো হয়।
এ ঘটনার পর পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার অলিয়ার রহমান বলেন, এ ঘটনায় মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে মঙ্গলবার পত্র দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, ওই অভিভাবকের অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানা-পুলিশের নিকট পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।