চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় সদ্য বিদায়ী সরকারের শাসনামলে ইস্যু করা বৈধ ৮০টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৭৯টি জমা পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এসব অস্ত্র জমা পড়েছে। তবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক এমপি আলী আজগার টগরের নামে ইস্যু করা অস্ত্রটি থানায় জমা পড়েনি বলে জানা গেছে।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক লোকজনকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। ওই সময়ে যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তাদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ব্যক্তি পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সধারী রয়েছেন মোট ৬৮ জন। এর মধ্যে অস্ত্র ক্রয় করেছেন ৬৪ জন। অপর দিকে, সামরিক পর্যায়ে অস্ত্রের লাইসেন্স আছে ২০ জনের। এর মধ্যে অস্ত্র কিনেছেন ১৬ জন।
সদ্য বিদায়ী সরকারের গত ১৬ বছরে ৮০ জন অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে থানায় অস্ত্র জমা দিয়েছেন ৭৯ জন। বাকি একজন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের নামে ইস্যু করা একটি শটগান কোথাও জমা দেওয়া হয়নি। বর্তমানে তিনি ভারতে আত্মগোপনে গেছেন বলে গুঞ্জন আছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখা) নাঈমা জাহান সুমাইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এ সময়ের মধ্যে যারা নিজ নিজ লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমা দিয়েছেন, তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলা পুলিশ এ বিষয়ে সকল সহযোগিতা করছে। একটি মাত্র অস্ত্র বাদে জেলার সকল অস্ত্রই জমা পড়েছে।’