প্রেমের সম্পর্কে গড়ে তোলেন। সেই সুবাদে বাসায় ডাকেন। এরপরই মারধর করে সব হাতিয়ে নেন সব। এখানেই শেষ নয়। জিম্মি করে মুক্তিপণও আদায় করেন তিনি। প্রেমের নামে এভাবেই অভিনব উপায়ে প্রতারণা অভিযোগ মোছা. রেখা খাতুনের (৩০) বিরুদ্ধে। তবে তাঁর শেষ রক্ষা হয়নি। এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন পুলিশের হাতে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার দক্ষিণ হাসপাতাল এলাকা থেকে এই প্রতারক চক্রকে গ্রেপ্তার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা-পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রেখা প্রতারণার জন্য প্রেমের ফাঁদ পাতেন। এই প্রতারণার জন্য তার আলাদা একটি চক্রও আছে। চক্রের বাকি সদস্যরা পুরুষ। রেখা সহজ সরল এবং অপেক্ষাকৃত বয়স্ক লোকদের সঙ্গে প্রেম করতেন। এরপর তাঁদের বাসায় নিয়ে আসতেন। বাসায় আসলেই চক্রের পুরুষ সদস্যরা মারধর করে তাঁদের মোবাইল ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেন। এরপর নগ্ন ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করতেন।
এ বিষয়ে কাশেম আলী নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘রেখা বিমা কোম্পানিতে চাকরি করে। সেই সুবাদে আমার পরিচিত। জরুরি দরকার আছে বলে তাঁর বাসায় সে আমাকে নিয়ে যায়। এরপর তাঁর বাসায় আমাকে আটকে রেখে টাকা পয়সা দাবি করে। আমি এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেছি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, একই কায়দায় মঙ্গলবার ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে জিম্মি করে রেখা ও তাঁর দল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সহযোগী আলী হিমসহ (২১) রেখাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আরও দুজন পালিয়ে যান। তাঁদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।