কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মহাসড়কে চলন্ত পিকআপ ভ্যান থামিয়ে চালক ও গরুর মালিককে মারধর করে চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে পাঁচটি গরু ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ১২টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের লাহিনীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা হলেন, গরুর মালিক ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার চকিঘাটা এলাকার রিপন শেখ (২৯) ও পিকআপ ভ্যানের চালক জয়পুরহাটের কাশিয়াবাড়ী এলাকার ফারুক হোসেন (৫২)। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের শান্তিডাঙ্গা এলাকায় চলন্ত পিকআপ ভ্যানে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে পাঁচটি গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ডাকাতের হামলায় গরু ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে ও পিকআপ ভ্যানৎচালক আহত হন। ছিনতাই হওয়া গরুগুলোর মূল্য ছিল সাড়ে তিন লাখ টাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গরু ব্যবসায়ী রিপন শেখ জয়পুরহাট থেকে পাঁচটি গরু কিনে একটি পিকআপ ভ্যানে করে নিজ বাড়ি ফরিদপুরে ফিরছিলেন। রাত ১২টার দিকে লাহিনীপাড়া এলাকায় সাত-আটজন তাদের গাড়ির গতিরোধ করে। গাড়ি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে সামনের গ্লাস ভেঙে ফেলে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা। এ সময় গরুর মালিক ও গাড়িচালককে মারধর করে তাদের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পিকআপ থেকে পাঁচটি গরু তাদের ট্রাকে তুলে নেয়। গরুগুলোর মূল্য অন্তত ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।
ভুক্তভোগী গরুর মালিক রিপন শেখ বলেন, ‘অনলাইনে ভিডিও দেখে গরু পছন্দ করে জয়পুরহাটে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে পাঁচটি গরু কিনে ফরিদপুরে নেওয়ার জন্য একটি পিকআপ ভ্যান ভাড়া করি। হেলপার না থাকায় আমি আর চালক দুজন ছিলাম। ডাকাত দলের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। দুটি পিকআপ ভ্যানে তারা গরুগুলো নিয়ে গেছে। পরে আমাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয় জনগণ এসে পুলিশে খবর দেয়।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান উদ্ধার করেছে। এটা কোনো সাজানো নাটক কি না গরুর মালিক ও পিকআপ ভ্যানচালককে জিজ্ঞাসাবাদে সেটাও মাথায় রাখা হচ্ছে।