বাগেরহাটের শরণখোলায় মা ও তাঁর শিশু কন্যা খুনের ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতেই নিহত পাপিয়ার ভাই আলামিন বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে শরণখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজ শনিবার সকালে নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাটে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন।
তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শরণখোলায় মা ও তার শিশু কন্যা খুনের ঘটনায় নিহত পাপিয়ার ভাই আলামিন বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহার নামিয় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
আসামিরা হচ্ছে শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের আ. সামাদ হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদার, নেহারুল হাওলাদার ও মিলন হাওলাদার। আসামিরা এই খুনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের রহস্য বের করা হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিহতদের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য আজ শনিবার সকালে লাশ বাগেরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার মাগরিবের নামাজের সময় কে বা কারা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে আবু জাফরের ঘরে প্রবেশ করে আবু জাফরের স্ত্রী পাপিয়া বেগম (৩০) ও তার শিশু কন্যা সাওদা জেমি (৫) কে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় গৃহকর্তা আবু জাফর ঢাকায় অবস্থান করছিলো বলে স্বজনরা জানান।