যশোর প্রতিনিধি
যশোরে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করেছেন এক আওয়ামী লীগ নেত্রী। আজ বুধবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা হয়।
বিচারক গোলাম কবিরের আদালত মামলার তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদশ দিয়েছেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী রুহিন বালুজ জানান।
আসামি অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবীর হোসেন জনি যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। তিনিও অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে একটি পক্ষ ‘হেয় প্রতিপন্ন’ করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলা করেছে বলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী একজন বিধবা নারী। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের মা ও শিশুবিষয়ক সম্পাদিকা এবং সাবেক ইউপি সদস্য। দলীয় কর্মী হিসেবে তাঁর সঙ্গে সৈয়দ কবীর হোসেন জনির সুসম্পর্ক রয়েছে। জনি প্রায়ই তাঁর বাড়িতে যেতেন। পারিবারিক জমিসংক্রান্ত ঝামেলা থাকায় ওই নারী তাঁর কাছে আইনগত পরামর্শ চান।
সর্বশেষ গত ১০ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে জনি তাঁর বাড়িতে যান। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। আলোচনার একপর্যায়ে জনি আকস্মিকভাবে তাঁকে জড়িয়ে ধরে গালে, বুকে চুমু দেন এবং নিতম্ব স্পর্শ করেন। তখন তিনি জনিকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেন এবং গালিগালাজ করতে থাকেন। তখন জনি দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে উঠে চলে যান।
অভিযোগের বিষয়ে অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবীর হোসেন জনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলা হয়েছে শুনেছি। তবে ওই নারীকে আমি চিনি না। নারী কোর্টের পিপিকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে গতকাল যে মামলা হয়েছে আমি তার পিটিশনকারী। রাজপথে আন্দোলনও করেছি। এজন্য একটি পক্ষ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মামলা করেছে বলে মনে করছি।’