চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চণ্ডীপুর বাজারে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে আনিদুল ইসলাম (১৮) ও একই উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের তারিকুল ইসলামের ছেলে রাতুল আলী (১৯)।
আহতরা হলেন-দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীন পাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে রাহুল হোসেন (১৮), সদাবরি গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৮) ও ধান্যঘড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রাজু আহম্মেদ (১৮)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাতে মোটরসাইকেলে করে রাহুল, আনিদুল ও রাতুল দর্শনা বাজার থেকে কার্পাসডাঙ্গায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চণ্ডীপুর বাজারে পৌঁছালে একটি বাঁশবোঝাই আলমসাধু (ইঞ্জিনচালিত থ্রি-হুইলার) অপর একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই মোটরসাইকেলে থাকা পাঁচ আরোহী গুরুতর আহত হন।
ঘটনার পর পরই স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেকে ভর্তি করানোর পর আজ সোমবার সকালে রাতুল আলী মারা যান।
নিহত রাতুলের বাবা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় আমার ছেলে মারা গেছে। আজ বাদ জোহর পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।’
নিহত আনিদুলের বাবা আব্দুল আলিম বলেন, ‘আজ সকাল ১০টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা আবাসন কবরস্থানে জানাজা নামাজ শেষে আমার ছেলের মরদেহের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আনিদুল নামে একজন মারা যায়। আহত রাহুল, হৃদয় ও রাজুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেকে ও রাতুলকে ঢামেকে রেফার্ড করা হয়।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।