কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় টাকা ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে আহত এক ব্যবসায়ী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম সুলতান খন্দকার। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভা এলাকার মোশারফপুর মহল্লার আব্দুর রশিদ খন্দকারের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মোশারফপুরে নিজ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে বসে গাড়ি বিক্রির ৭ লাখ টাকা গুনছিলেন সুলতান খন্দকার। এ সময় এলাকার শাহীনসহ কয়েকজন সহযোগী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সুলতানের ওপর হামলা চালিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় বাধা দিলে শাহীন ধারালো ছুরি দিয়ে সুলতানের পেটে ও বুকে আঘাত করে। সুলতানের চিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাঁদেরকেও মারপিট করে হামলাকারীরা। পরে সুলতানকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সুলতানের বাবা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে মিরপুর থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করেছে।
সুলতানের ভাতিজা নাঈম খন্দকার জানান, শাহীন এলাকার একজন সন্ত্রাসী ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। সে বিভিন্ন সময় আমার চাচা সুলতানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আর ফেরত দিতো না। এ নিয়ে চাচার সঙ্গে সুলতানের বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাচা প্রাইভেটকার বিক্রি করে সেই টাকা নিয়ে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করেই শাহীন, রাজ্জাকসহ আরও কয়েকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় শাহীন ৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এতে বাধা দিলে ধারালো ছুরি দিয়ে চাচাকে পেটে এবং বুকে আঘাত করে পালিয়ে যায় শাহীন ও তাঁর সহযোগীরা।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। রাতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মূল আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।’