যশোর প্রতিনিধি
চাঁদাবাজি, মারধর ও হত্যার হুমকির পৃথক দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। আজ বৃহস্পতিবার যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়ার আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। আদালত দুই মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। পরে ঢাকার আরেক মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
যশোর সদর কোর্টের জিআরও খায়রুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, শহিদুল ইসলাম মিলন ঢাকা কেরানীগঞ্জ কারাগারে একটি মামলায় বন্দী ছিলেন। যশোরের এই দুই মামলায় তাঁকে শোন অ্যারেস্ট দেখাতে আজ আদালতে আনা হয়। আদালতে তাঁর জামিন আবেদন করেন আইনজীবী। বিচারক দুই মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। পরে ঢাকার আরেকটি মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে সাবেক নারী ও শিশু পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল একটি মামলা করেন। তিনি আদালতে করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় ভবনের সামনের ফুটপাত ব্যবসাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ স্থানীয় পুরোনো কসবা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেন। সেখানে তিনি যান মীমাংসার জন্য।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন একদল যুবক নিয়ে ওই ফাঁড়িতে যান। মিলন হঠাৎ মুস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে ‘ধান্দাবাজ’ আখ্যা দিয়ে মারধর শুরু করেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে মুকুলকে হত্যারও হুমকি দেন মিলন। এ ঘটনায় গত বছরের ১১ জুন আদালতে মামলা করেন। যা আদালতের নির্দেশে কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়।
অন্যদিকে, গত বছরের ২৭ জুন যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের আসাদুজ্জামানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং তাঁর বাড়িতে নগদ ১০ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু ও ধান, গম লুটপাটসহ জায়গা দখলের চেষ্টা করেন শহিদুল ইসলাম মিলন। এ ঘটনার দুই মাস পর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। তবে, এই দুই মামলায় পলাতক ছিলেন শহিদুল ইসলাম মিলন। সরকার পরিবর্তনের পর যশোর ত্যাগ করেন মিলন। গত ৩ অক্টোবর রাতে ঢাকা থেকে আটক হন তিনি। যশোরের ওই দুই মামলায় তাকে আজ সকালে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন দিলেও ঢাকায় মামলা থাকায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।