ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ডলি বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন নিহতের স্বামী।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহত গৃহবধূর মা থানায় মামলা করেছেন। এর আগে গতকাল বুধবার উপজেলার লখপুর এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ডলি বেগম খুলনার রূপসা এলাকার বাসচালক সোহাগ শেখের স্ত্রী এবং বাগেরহাটের সাইনবোর্ড এলাকার মোক্তার মীরের মেয়ে। ডলি বেগম ও স্বামী সোহাগ শেখ ফকিরহাটের লখপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
পুলিশ জানান, বুধবার বিকেলে সোহাগ শেখ নিহতের মা ও নিকট আত্মীয়দের কল করে জানান ডলি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছেন। তাঁর স্বজনেরা লখপুরে ওই ভাড়া বাড়িতে এসে দেখেন ডলি বেগম মৃত অবস্থায় খাটের ওপর পড়ে আছেন। ঘটনাস্থলে সোহাগকে না পেয়ে তাঁকে কল করলে জানান তিনি যশোরে আছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন নিহতের স্বামী তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন।
নিহতের মা নার্গিস বেগম, মামি মিহিনা বেগম ও মামাতো ভাই সোহেল রানা জানান, তাঁরা কল পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন ডলি মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। তখন থানা-পুলিশকে অবহিত করেন। তাঁদের ধারণা ডলির স্বামী তাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।