Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > খুলনা

কয়লা উঠলেও ডুবে যাওয়া জাহাজ উদ্ধার হয়নি ২৪ দিনেও

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 

কয়লা উঠলেও ডুবে যাওয়া জাহাজ উদ্ধার হয়নি ২৪ দিনেও

গত ১৭ নভেম্বর মোংলা বন্দরের পশুর নদের চরকানা এলাকায় ৮০০ টন কয়লা বোঝায় ‘এমভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী’ নামে একটি কার্গো জাহাজ তলা ফেটে ডুবে যায়। ২৪ দিন পার হলেও এখনো ডুবে যাওয়া কার্গোটি উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। 

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ডুবে যাওয়া জাহাজটির অবস্থান মোংলা বন্দরের মূল পশুর চ্যানেলের বাইরে। তাই বন্দরে জাহাজ আগমন-নির্গমনে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। 

সরেজমিন জানা গেছে, নদীতে ডুবে যাওয়া কার্গোটি থেকে কয়লা উত্তোলন শেষ হয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ওই জাহাজ থেকে ৫০০ টন কয়লা ওঠানো সম্ভব হয়েছে। কয়লা ছিল ৮০০ টন। বাকি ৩০০ টন কয়লা পানির সঙ্গে মিশে গেছে। এখন ডুবে যাওয়া কার্গোটি জাহাজটি ওঠানোর জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে মালিকপক্ষ। জাহাজটি ওঠাতে রোববার দুপুরের পর দুটি বাল্কহেড পাঠানো হয়েছে। ওই বাল্কহেড দিয়ে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে জাহাজটি পশুর নদ থেকে টেনে ওঠানো সম্ভব হবে বলে দাবি মালিক কর্তৃপক্ষের। 

ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ এমভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালীর মালিক মো. বশির হোসেন বলেন, গত ১৭ নভেম্বর তলা ফেটে ৮০০ টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় তাদের জাহাজ। এরপর ১৯ নভেম্বর থেকে প্রথমে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করা হয়। টানা ১৭ দিন পর ৫০০ টন কয়লা ওঠাতে পেরেছেন তারা। বাকি ৩০০ টন কয়লা পানির সঙ্গে মিশে গেছে। ৫০০ টন কয়লা ওঠাতে তাদের ১৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন ডুবে যাওয়া জাহাজটি ওঠাতে যশোরের নওয়াপাড়া থেকে দুটি বাল্কহেড আনা হয়েছে। এই বোট দুটি দিয়ে আজ সোমবার সকাল থেকে ডুবে যাওয়া জাহাজ ওঠানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। 

এদিকে পশুর নদে কয়লা নিয়ে জাহাজ ডুবির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী হারবার মাস্টার মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এই দুর্ঘটনা মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের বাইরে। তাই জাহাজ চলাচলে ঝুঁকি নেই। তবে কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মালিকপক্ষকে ১৫ দিনের মধ্যে কয়লা এবং জাহাজ ওঠাতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু ১৫ দিনে তা সম্ভব হয়নি। তাই তারা সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে। 

সময় বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিন থেকে চার দিনের মধ্যে মালিকপক্ষ ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ উঠিয়ে ফেলবেন। 

এদিকে ৩০০ টন কয়লা পানির সঙ্গে মিশে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক নুর আলম শেখ বলেন, ‘কয়লা একটি বিষাক্ত ময়লা। এটি পানির সঙ্গে মিশে যাওয়ায় জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এটা দায়িত্বের চরম অবহেলা হয়েছে। বন্দরের পশুর চ্যানেলে বারবার বিভিন্ন জাহাজডুবির কারণে সুন্দরবনের জলজ প্রাণীদের জন্য চরম ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। কারণ পশুর নদ সুন্দরবনের প্রাণ। 

গত ১৭ নভেম্বর পশুর নদের চরকানা এলাকায় ৮০০ টন কয়লা নিয়ে যশোরে যাওয়ার সময় তলা ফেটে ডুবে যায় ‘এমভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী’ নামে কার্গো জাহাজ। মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ায় অবস্থান করা মার্শাল আইল্যান্ড পতাকাবাহী মার্চেন্ট শিপ ‘এমভি দুবাই নাইট’ থেকে কয়লা বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়ায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে নেওয়া হচ্ছিল।

কর্মী সংকটে মহিষ রুগ্‌ন হচ্ছে প্রজনন খামারে

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

চুয়াডাঙ্গায় টাস্ক ফোর্সের অভিযান, ব্যবসায়ীদের বাধায় ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট

খুলনায় ৬ ইটভাটা বন্ধসহ কয়লা তৈরির ১৩টি চুল্লি গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

পূর্ব সুন্দরবনের টিয়ারচরে জেলে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

খুলনায় দেশীয় বন্দুক, কার্তুজসহ আটক ২

আওয়ামীপন্থীদের অপসারণের দাবিতে ইবি উপাচার্য কার্যালয়ে হট্টগোল

ভেজালবিরোধী প্রচার চালানো ব্যবসায়ী ড্রামের তেল ভরতেন বোতলে

চুয়াডাঙ্গায় আড়াই কেজি সোনাসহ দুই বাসযাত্রী আটক

ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ