যশোরের অভয়নগরে জিয়া উদ্দিন পলাশ (৪৯) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বেঙ্গল রেলগেট এলাকার একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
জিয়া উদ্দিন উপজেলার পলাশ নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। জিয়া একই ওয়ার্ডের নওয়াপাড়া মডেল কলেজসংলগ্ন মৃত ইব্রাহিম সরদারের ছেলে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে রইস উদ্দিন (৩৮) নামে একজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। তিনি স্থানীয় একটি শ্রমিক সংগঠনের নেতা বলে জানা গেছে।
নিহতের ছোট ভাই কিবরিয়া হোসেন বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে পলাশ ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ১০টার দিকে এলাকাবাসীর মাধ্যমে তাঁর সন্ধান মেলে। ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গেছে।’
এলাকাবাসী জানায়, সাবেক কাউন্সিলর পলাশ নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানার পর খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে সাইদুর রহমান ঘাটের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শোভন বিশ্বাস বলেন, মৃত অবস্থায় পলাশের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়। দেখে মনে হয়েছে, নিহতের শরীরে লাঠি দিয়ে পেটানো ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। অতিরিক্ত আঘাতের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হয়েছে।
জানতে চাইলে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমাদুল করিম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা জিয়া উদ্দিন পলাশকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রইস উদ্দিন নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই যুগ আগে নিহত জিয়া উদ্দিন পলাশের বাবা ইব্রাহিম সরদারকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।