কুষ্টিয়া দৌলতপুরে ১২ বছরের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতন করায় একই মাদ্রাসার শিক্ষক সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে হোসেনাবাদ ফজলুল উলুম বহুমুখী মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা ওই শিক্ষককে মাদ্রাসার একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে।
ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের বরাত দিয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবর রহমান জানান, দুই দিন আগে হোসেনাবাদ ফজলুল উলুম বহুমুখী মাদ্রাসার শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম মাদ্রাসার ১২ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে গভীর রাতে তার রুমে ডেকে নিয়ে যৌন নির্যাতন চালায়। এ সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চিৎকার করলে তকে মেরে ফেলার হুমকি দেন সিরাজুল।
পরে শনিবার সকালে শিশুটি বাড়িতে এসে ঘটনাটি তার বাবা–মাকে জানায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসা ঘেরাও করে ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সিরাজুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
ওই শিশুটির বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা সন্তানদের ইসলামের সঠিক শিক্ষা দিতে এখানে পাঠিয়েছি। কিন্তু আমার ছেলের সঙ্গে যা ঘটেছে, এরপর আমার ছেলেকে এখানে আর রাখব না। এই ঘটনা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্যই হয়েছে। এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবর রহমান বলেন, অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে হোসেনাবাদ ফজলুল উলুম বহুমুখী মাদ্রাসার শিক্ষক সিরাজুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ওই ঘটনার কথা স্বীকার করায় তার নামে নিয়মিত মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।