যশোর প্রতিনিধি
বিএনপি নেতাকে হত্যার হুমকি, চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগে ঘটনার দুই বছর পর মামলা হয়েছে যশোর-১ (শার্শা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে।
আজ বুধবার যশোরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোস্তফা কামাল মিন্টু। অভিযোগ আমলে নিয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারক জাকিয়া সুলতানা সাত দিনের মধ্যে শার্শা থানার ওসিকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আমিনুর রহমান। শেখ আফিল উদ্দিন ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের টানা চারের সংসদ সদস্য ছিলেন।
অন্য আসামিরা হলেন—শার্শার শ্যামলগাছী গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা কবির উদ্দীন তোতা, একই গ্রামের চারভাই রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম মন্টু, তরিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম। এ ছাড়া একই গ্রামের শান্টু ওরফে কালু, ছাত্তার, শার্শা টিঅ্যান্ডটি অফিস এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদ, শার্শা গ্রামের আদিল এবং উত্তর বুরুজ বাগানের হাফিজুর রহমান মিন্টু।
মামলায় মিন্টু উল্লেখ করেন, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতিতে ‘ল’ চেম্বার রয়েছে। এ ছাড়াও তার আরেকটি চেম্বার রয়েছে নিজ বাড়ি সংলগ্নে। সেখানে বসে তিনি এলাকার মানুষের আইনি সেবা দেন। ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর নিজ এলাকার চেম্বারে বসে ছিলেন। এমন সময় শেখ আফিল উদ্দীনের নির্দেশে অন্য আসামিরা বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে অফিসে হামলা চালায়। তার গলায় গাছি দা ধরে বলে, ‘বড় নেতা হয়ে গিছিস? তোকে খুলনার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে কে জেতে বলেছিল? এ ছাড়া বলে আগামী সপ্তাহে আমাদের পিকনিক রয়েছে। সেখানে পাঁচ লাখ টাকা দিবি না হলে হত্যা করে লাশ গুম করে দেওয়া হবে।’
এর প্রতিবাদ জানালে, আসামিরা তাঁর অফিস ভাঙচুর করে। বিভিন্ন আসবাব পত্র লুট করে। এমনকি মামলার নথি ছিঁড়ে ফেলে। হত্যার হুমকি দিয়ে চেম্বারের ড্রয়ারে থাকা বাদীর ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় তিনি শার্শা থানায় মামলার জন্য যান। কিন্তু আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা নেয়নি। বর্তমানে দেশের স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেন।