হোম > সারা দেশ > খুলনা

কুমারখালী পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া কোটি টাকার বেশি 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ১ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। যে কারণে সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। এনিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও তাঁদের সহযোগীদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। 

একপর্যায়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পৌরসভা কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় কর্তৃপক্ষ। 

গত ৩০ মে বেলা পৌনে ১টার দিকে পৌরসভার কার্যালয় ভবনের ৬টি প্রি-পেইড মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। 

কুমারখালী ওজোপাডিকোলির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৮৬৯ সালে স্থাপিত কুমারখালী পৌরসভায় ৯টি বিদ্যুৎ মিটার রয়েছে। এরমধ্যে ২০০৭ সাল থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ৬টি মিটারে প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার ১২৩ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। 

বিল পরিশোধের জন্য বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বারবার পৌর কর্তৃপক্ষকে নোটিশ প্রদান করে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৮ মে নোটিশ পাঠানো হয়। তবুও বিল পরিশোধ না করায় বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটায় ৬টি মিটারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে উভয় পক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে ২টা ১০ মিনিটের দিকে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। 

আরও জানা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পৌরসভার মিটারগুলো ডিজিটাল থেকে প্রি-পেইডে পরিবর্তন করা হয়। পরিবর্তনের ফলে পৌর কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। প্রতিমাসে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তাঁরা। 

ডিজিটালের চেয়ে প্রি-পেইড মিটারে বিল কম হওয়ায় বকেয়া বিল পরিশোধে টালবাহানা শুরু করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। এরপর বর্ধিত বিলের প্রতিকার চেয়ে ২০২৩ সালে জুন মাসে কুষ্টিয়া সিভিল কোর্টে একটি মামলা করে পৌর কর্তৃপক্ষ। ওই মামলা চলমান রয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমারখালী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সামছুজ্জামান অরুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিলের রেট নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তা মিটমাট হয়ে গেছে। এটা রিপোর্ট করার মতো কোনো ঘটনা নয়।’

কুমারখালী ওজোপাডিকোলি’র আবাসিক প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পৌরসভায় ২০০৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার ১২৩ টাকা বকেয়া বিল রয়েছে। বারবার বিল পরিশোধের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তবুও পৌর কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধ না করায় ৬টি মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। এনিয়ে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পরে উপজেলা প্রশাসন উভয় পক্ষকে নিয়ে বসাবসি করেন। সেখানে বিল পরিশোধের আশ্বাস দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। এরপর প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে পুনরায় পৌরভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।’ 

জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটোই সরকারি প্রতিষ্ঠান। সে জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে বসাবসি করা হয়েছে। খুব দ্রুত উভয়পক্ষ তাঁদের সমস্যা মিটিয়ে নেবে বলে প্রত্যাশা করি।’

তিন সেতু-কালভার্টে ধস লাখো মানুষের দুর্ভোগ

রাজনৈতিক সরকার ছাড়া সংস্কার টেকসই হবে না: সিজিএস সংলাপে বক্তরা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা: প্রেস সচিব

সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার

বাগেরহাটে অস্ত্র–গুলিসসহ ২ যুবক গ্রেপ্তার

নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখাচ্ছে খুবি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ ‘সমৃদ্ধি’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আজও কাঁদছেন ছাব্বিরের মা

২৬টি জুট মিল চালুর দাবিতে খুলনায় শ্রমিক সমাবেশ

দৌলতপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

পাউবোর পাইপ চুরি, গ্রেপ্তার ৩

সেকশন