একটি মিষ্টির ওজন প্রায় দেড় কেজি। দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা। এটির নাম বালিশ মিষ্টি। বালিশ আকৃতির হওয়ায় এ নামকরণ। যশোরের কেশবপুরে মধুমেলায় দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে এ মিষ্টি। কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে মিষ্টি খাচ্ছেন। অনেকে আবার পরিবারের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২৫ জানুয়ারি থেকে সাগরদাঁড়িতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী এ মধুমেলা। মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলার মাঠে এই মিষ্টির দোকান দিয়েছেন সাতক্ষীরার কলারোয়ার বাসিন্দা পরিতোষ নন্দী। পাশাপাশি কয়েকটি মিষ্টির দোকান নিয়ে তিনি বালিশ মিষ্টি ছাড়াও নানা রকমের মিষ্টি বিক্রি করছেন।
জানা গেছে, ৩০ জন কর্মচারী রয়েছে এসব দোকানে। পরিতোষ নন্দীর মিষ্টির দোকানে বড় বালিশ মিষ্টি একটি ১ হাজার ৫০০ টাকা, মাঝারি ৬০০ টাকা, ছোট ২০০ টাকা ও ল্যান্সা বড় মিষ্টি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার পাঁজিয়া থেকে পরিবারের সঙ্গে মধুমেলায় আসা তহমিনা জসীম বলেন, ‘মেলায় এসে প্রথমবার এ বালিশ মিষ্টি দেখেছি। মিষ্টি খেতে খুবই সুস্বাদু। এ জন্য নিজেরা খাওয়ার পরে পরিবারের অন্যদের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’
মিষ্টির দোকান মালিক পরিতোষ নন্দী বলেন, বিভিন্ন আকৃতির বালিশ মিষ্টিসহ নানা রকমের মিষ্টি বিক্রি করছি। মেলার প্রথম দুদিন মিষ্টি কম বিক্রি হলেও এখন বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে।