বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উপজেলা সদর। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের রামদা, হকিস্টিকসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে বিভিন্ন সড়কে মহড়া দিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের হামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আহসান হাবিব ঠান্ডা।
মো. আহসান হাবিব ঠান্ডা বলেন, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ‘ভোলায় ছাত্রদলের সভাপতিসহ দুজন খুন এবং নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হামলার প্রতিবাদের কর্মসূচি ছিল আজ। মঙ্গলবার সকালে চিতলমারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আমাদের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। এই সমাবেশ বানচাল করতে দুই-তিন দিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধমকি ও মারধর করে আসছে। গতকাল রাতেও বিভিন্ন গ্রামে মহড়া দিয়েছে। সমাবেশ বানচাল করতে তারা সকাল থেকে হকিস্টিক, রামদাসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে উপজেলা সদরে মহড়া দিচ্ছে। সকালে সাবেক ছাত্রদল নেতা শফিকুল ইসলাম বাবুকে মারধর এবং তাঁর মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া শাসক দলের হামলায় কৃষক দলের নেতা শেখ মোহাম্মাদ আালী, যুবদলের নেতা কামাল বিশ্বাস, বিএনপির নেতা মনিরুল ইসলাম মনিসহ আমাদের ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা এই ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
এ বিষয়ে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘শুনেছি যুবলীগের মিছিলের মধ্যে প্রবেশ করে মোটরসাইকেল ফেলে চলে গেছে এক ব্যক্তি। এ ছাড়া তেমন কোনো হামলার ঘটনা শুনিনি আমরা।’