যশোর প্রতিনিধি
প্রকৌশলীকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় যশোর নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফাহমিদা জাহাঙ্গীর তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোট পরিদর্শক রোকসানা খাতুন বলেন, ‘চলতি বছরের একটি হত্যা মামলায় মুল্লুক চাঁদ জামিনে ছিলেন। তিনি উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে উচ্চ আদালত তাঁকে নিম্ন আদালতে পাঠান। এরপর আজ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক তাঁকে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।’
নিহত বায়েজিদ হাসান (৩৩) খুলনা শহরের বানরগাতি গ্রামের আল আমিন মহল্লার নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি মুল্লুক চাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিহত বায়েজিদ রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ ও তাঁর ভাই সঞ্জয় চৌধুরীর ভবন নির্মাণের কাজ করতেন ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলী বায়েজিদ ওই ভবনের নির্মাণকাজ দেখভাল করতেন। এর পর গত ২৪ মার্চ মুল্লুক চাঁদ ও তাঁর ভাই সঞ্জয় চৌধুরীর লোকজন বায়েজিদকে খুলনার বাড়ি থেকে তুলে চালের গুদামে নিয়ে আসেন। সেখানে বায়েজিদকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এর পর ২৫ মার্চ রাতে নিহতের মা যশোর কোতোয়ালি থানাতে মামলা করেন।
ওই মামলার আসামিরা হলেন—নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, মুল্লুক চাঁদের ভাই সঞ্জয় চৌধুরী, শহরের গাড়িখানা রোডের শহিদুল ইসলাম, রাজু, রাজন, শাহ আলম এবং লোন অফিসপাড়ার সাদেক মোল্লার ছেলে জসিম মোল্লা। যশোরের এই বহুল আলোচিত মামলায় বিএনপি নেতা মুল্লুক চাঁদ ছাড়া বাকি পাঁচ আসামিরা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।