ঝিনাইদহ সদরের নগরবাথান এলাকায় গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে সন্টু মণ্ডল (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরেক যুবক। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সন্টু মণ্ডল সদর উপজেলার বাড়িবাথান গ্রামের বাসিন্দা ও পাগলাকানাই ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি জিনারুল ইসলামের ছেলে। গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় সদর থানায় দায়ের করা মামলার এক নম্বর আসামি সন্টু মণ্ডল।
ঝিনাইদহের আরাপপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস জানান, গতকাল রাতে ডিপজল নামের এক বন্ধুকে নিয়ে ঝিনাইদহ শহর থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে ডাকবাংলা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন সন্টু। পথে নগরবাথান বাজার পার হলেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি গাছে সঙ্গে তাঁদের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে আনেন স্থানীয়রা। কিছুক্ষণ পরেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সন্টু। তবে আহত ডিপজলকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহাবুবুল আলম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার আলামত নিয়ে হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ পরেই সন্টুর মৃত্যু হয়েছে। তবে শরীরের বাইরের অংশে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকায় মৃত্যুর সঠিক কারণ বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই বোঝা যাবে ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে উবায়দুর রহমান নামের এক বিএনপি কর্মীকে শহর থেকে বাড়িবাথান গ্রামে বাড়ি ফেরার পথে পাগলাকানাই ইউনিয়নের দেওয়ান বাজারে কুপিয়ে আহত করা হয়। অভিযোগ ওঠে, সন্টু মণ্ডল পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে কুপিয়ে জখম করেন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে সন্টু মণ্ডল ও তাঁর বাবা জিনারুল ইসলাম, একই এলাকার চান মিয়া এবং তন্ময় মণ্ডলকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন উবায়দুরের মেয়ে শিরিনা খাতুন। এ মামলায় এক নম্বর আসামি সন্টু মণ্ডল।