জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে তিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব জরিমানা করা হয়।
জরিমানার বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকল বাধ্যবাধকতাসহ ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় আজ জীবননগরে অভিযান পরিচালনা করা হয়।’
সজল আহম্মেদ বলেন, ‘অভিযানে জীবননগর হাসপাতালে রোডে অংকন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের ল্যাবে মেয়াদোত্তীর্ণ টেস্ট কিট ও মেডিসিন পাওয়া যায়, ল্যাবের ফ্রিজে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাচা মাছ, মাংস, দুধ ইত্যাদি সংরক্ষণ করা, এমবিবিএস চিকিৎসক ও নির্ধারিত টেকনিশিয়ান ব্যতীত অন্যদের দিয়ে আলট্রাসনোগ্রাফি ও এক্স-রে করানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব অপরাধের দায়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. আসাদুজ্জামান রিপনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
সজল আহম্মেদ আরও বলেন, ‘মেসার্স আল হেরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ টেস্ট কিট ও বিভিন্ন মেডিসিন পাওয়া যায়। আর ল্যাবের ফ্রিজে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাচা মাংস রাখা, বিভিন্ন টেস্টের জন্য নির্ধারিত টেকনিশিয়ান ব্যতীত টেস্ট করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব অপরাধের দায়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. নুরুল আমিনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর মেসার্স লাইফ কেয়ার ডক্টরস চেম্বারে অনুমোদন ব্যতীত ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করা ও সেবার মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. রোকিনুজ্জামান তাসিরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া এক সপ্তাহের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।’
অভিযানে সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. মুস্তাফিজুর রহমান ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আনিসুর রহমান। সহযোগিতা করেন জীবননগর থানার উপপরিদর্শক সৈকতের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল।