যশোর প্রতিনিধি
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নবায়ন, স্বীকৃতি, কমিটি অনুমোদন ও পরিদর্শনের নামে ‘অর্থ-বাণিজ্যে’ নেমেছে একটি প্রতারক চক্র। চক্রটি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষককে ফোন করে টাকা দিতে বলছে।
বোর্ড বিষয়টি জানার পর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আজ রোববার সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
সূত্রমতে, খুলনা বিভাগের ১০ জেলা নিয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম। এ বোর্ডের অধীনে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। পরীক্ষা গ্রহণ ছাড়াও এসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, স্বীকৃতি নবায়ন, ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদন, অডিটসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে শিক্ষা বোর্ডটি। সম্প্রতি একটি চক্র প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি নবায়ন, কমিটি অনুমোদনসহ বিভিন্ন কাজের নামে বোর্ড কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে মোবাইলে ফোন করে টাকা দাবি করছে।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার কুলটিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমলেশ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর কাছে ০১৯২৭৮৭৫০১০ নম্বর থেকে বিদ্যালয় পরিদর্শক পরিচয়ে ফোন করা হয়। ‘অডিট আপত্তি আছে; ঝামেলায় পড়বেন’ এই বলে ২ হাজার ৫০০ টাকা বিকাশ করতে বলে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক তিনি বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানিয়েছেন।
একই ধরনের অভিযোগ করেছেন ঝিনাইদহ সদরের পাগলাকানাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (আইসিটি) খন্দকার আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, ০১৯২৭৮৭৫০১০ নম্বর থেকে ফোন করে বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে আসার নাম করে বিকাশে টাকা চাওয়া হয়। এভাবে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১০ থেকে ২০ জন শিক্ষক বোর্ডে ফোন করে জানান।
জানতে চাইলে শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রতারক চক্র ফোন করে টাকা চাইছে। আমরা প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের সতর্ক করে বোর্ডের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হবে।’ তিনি আরও বলেন, শিক্ষা বোর্ডের সব কার্যক্রমের ফিস সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অনলাইনে নেওয়া হয়। তাই প্রতারক চক্রের সঙ্গে কোনোভাবে নগদ, বিকাশ, রকেটসহ কোনো মাধ্যমেই লেনদেন না করতে বলা হয়েছে। এ ধরনের প্রতারকের বিষয়ে স্থানীয় থানায় জিডি ও শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করতে অনুরোধ করা হয়েছে।