ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক অবরোধ করায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এর সঙ্গে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে এ অবরোধের ডাক দেয় পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার বিরোধী দলীয় নেতা ও বিজিপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
ভোমরা স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। বর্তমানে পাথর, চাল ও পেঁয়াজ বেশি আমদানি হচ্ছে। অল্প পরিমাণে রপ্তানি হচ্ছে জুস, কুড়ার তেল ও গার্মেন্টস সামগ্রী।
ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী দীপঙ্কর ঘোষ জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের দাবিতে আজ মঙ্গলবার ঘোজাডাঙ্গা অবরোধের ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার বিরোধী দলীয় নেতা। এর অংশ হিসেবে ঘোজাডাঙ্গায় প্রধান সড়কে মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশ করা হয়। এতে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে, ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দূর-দুরন্ত থেকে আগত ভারতগামী যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। ঘোজাডাঙ্গা অবরোধের খবর তাঁদের জানা না থাকায় বাড়ি থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে বের হন। বন্দরে এসে তাঁরা ফিরে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে পাটকেলঘাটার আবেদ আলী জানান, ‘ঘোজাডাঙ্গা অবরোধের খবরতো আমার জানা ছিল না। তাই এসেছি। ভোমরাতে এসে দেখি ইমিগ্রেশন বন্ধ। ফেরত যাওয়া ছাড়া পথ নেই।’
ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অবরোধ উঠে যাওয়ার আশা করছি আজ বিকেলেই। তখন হয়তো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।’