মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
মাগুরার মহম্মদপুরে অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসাশিক্ষকের জমি দখল করে অবৈধ ইটভাটা করেছেন ওই গ্রামের এক প্রভাবশালী। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন অফিসে অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাননি ভুক্তভোগী।
তবে অভিযোগ স্বীকার করে অভিযুক্ত ইটভাটা মালিক উজ্জ্বল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইটভাটার আওতায় তফসির উদ্দিনের ৪৩ শতক জমি রয়েছে। ইউএনও অফিস থেকে জমি ছেড়ে দিতে বলায় তার জমি ছেড়ে দিয়েছি।’ কিন্তু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তফসির উদ্দিনের তিনটি জমিই উজ্জ্বল তাঁর ভাটার কাজে ব্যবহার করছেন।
জানা যায়, মাগুরার মহম্মদপুরের দীঘা ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামের মো. তফসির উদ্দিন (৭০) উপজেলার নাগড়িপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন ২৬ বছর। অবসরে এসেছেন ১০ বছর আগে। দীঘা ইউনয়নে তিন ফসলি জমিতে অবৈধ ইটভাটা গড়ে তুলেছেন নাগড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. উজ্জ্বল মোল্যা।
ইটভাটার শুরু থেকে বিভিন্নজনের জমি লিজ নিলেও জোর করে ওই শিক্ষকের ৪৩ শতাংশ জমি দখল করে করেন তিনি। এ নিয়ে স্থানীয় দীঘা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খোকন মিয়া সালিস বৈঠক করেও জমি উদ্ধার করে তফসির উদ্দিনকে বুঝিয়ে দিতে পারেননি।
অপর দিকে তফসির উদ্দিনের সংসার চলছে আহারে-অর্ধাহারে। উপায়ান্ত না পেয়ে তফসির উদ্দিন ধরনা দেন উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য উজ্জ্বলকে জানালেও সে তাঁর ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী তফসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার চার সন্তান অনার্স-মাস্টার্সে লেখাপড়া করে। তাদের খরচ, সংসার খরচ দিতে গিয়ে আমি পথে বসে গেছি। এর মধ্যে উজ্জ্বল আমার ৪৩ শতক জমি জোর করে দখল করে রেখেছে। জমি ছেড়ে দিতে বললে, সে আমার সঙ্গে সন্ত্রাসী আচরণ করে। আমি ইউএনও অফিস, থানা ও কৃষি অফিসে আবেদন করেছি। তারা উজ্জ্বলকে জমি ছেড়ে দিতে বললেও সে জমি ছেড়ে দেয়নি।’
এ বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সম্প্রতি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেছিলাম। উজ্জ্বল মোল্যা জমি ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদি জমি ছেড়ে না দিয়ে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’