যশোরের মনিরামপুরে বিয়ের ছয় দিনের মাথায় মুসলিমা খাতুন (১৯) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়েটির বাবার বাড়ি মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর পশ্চিম পাড়া থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মুসলিমার অপমৃত্যুর কারণ প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। প্রকৃত ঘটনা জানতে থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
এর আগে গত রোববার উপজেলার জয়পুর পশ্চিম পাড়ার আইয়ুব আলীর মেয়ে মুসলিমা খাতুনের সঙ্গে একই উপজেলার মামুদকাটি গ্রামের আবদুর রহমানের বিয়ে হয়।
নিহতের পরিবার জানায়, দুই দিন আগে গত বুধবার স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান মুসলিমা খাতুন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। দুপুরে মুসলিমার স্বামী ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় মায়ের সঙ্গে কথা বলে পাশে চাচার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন মুসলিমা। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে মুসলিমাকে আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। এরপর তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ নিচে নামান।
মনিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে নববধূর অপমৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তরুণীর পরিবারের দাবি, তাঁর মাথায় নানা সমস্যা ছিল। প্রকৃত কারণ জানতে লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।