যশোরের কেশবপুরে শান্ত মেজাজের টাইটানের ওজন ১ হাজার ১০০ কেজি। টাইটান হলো একটি পোষা গরু, আদর করে যার নাম রাখা হয়েছে টাইটান। আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য তিন বছর ধরে উপজেলার কোমরপোল গ্রামের স্কুলশিক্ষক কাওছার আলী গরুটিকে লালন-পালন করেছেন। ২৭ মণ ওজনের বিশালদেহী টাইটান এবার এ অঞ্চলে বড় গরুর তালিকায় রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কোমরপোল গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষক কাওছার আলী তাঁর বাড়ির টিনের চালার গোয়ালে টাইটানকে তিন বছর ধরে পালন করে আসছেন। ইতিমধ্যেই টাইটানের ওজন পৌঁছেছে ১ হাজার ১০০ কেজিতে। বাড়িতে পোষা গাভির প্রথম বাছুর ছিল এ গরুটি। শান্ত প্রকৃতির বিশালদেহী এ গরুটিকে টাইটান নাম দিয়েছে কাওছার আলীর কলেজ পড়ুয়া ছেলে জোবায়ের হোসেন।
গরুর মালিক স্কুলশিক্ষক কাওছার আলী বলেন, ‘সাদা-কালো রঙের টাইটানকে বাছুর অবস্থা থেকে এখন পর্যন্ত কাঁচা ঘাস, বিচালির পাশাপাশি ভুট্টা, গম, খৈল ও ছোলা দিয়ে বাড়িতে পালিশ তৈরি করে খাওয়ানো হয়। গরুটিকে কখনো ‘ফিড’ জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়নি। বাড়ির গাভির প্রথম বাছুরটি শখের বশে পালন করে এত বড় করেছি। ১ হাজার ১০০ কেজি ওজনের টাইটানের দাম চাওয়া হচ্ছে সাত লাখ টাকা।’ আলোচনা সাপেক্ষে ন্যায্যমূল্য পেলে গরুটি তিনি বিক্রি করবেন বলে জানান।
গরুটিকে দেখার জন্য প্রতিনিয়ত ওই বাড়িতে ভিড় করছেন এলাকার মানুষ। টাইটানকে লালন-পালন করার ক্ষেত্রে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন কাওছার আলী। গত তিন বছর কখনো গরুটি অসুস্থ হয়নি। গরমে তার জন্য রয়েছে ফ্যানের ব্যবস্থা। নিয়মিত করানো হয় গোসল।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. অলোকেশ কুমার সরকার বলেন, শিক্ষক কাওছার আলীর ওই গরুটি লালন-পালনের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়। বর্তমানে গরুটির ওজন ১ হাজার ১০০ কেজির বেশি হয়েছে। উপযুক্ত দামে গরুটি বিক্রি হলে অন্যরাও বড় গরু পালনে আগ্রহী হবেন।
ছবি ক্যাপশন-কেশবপুরে বিশালদেহী গরু টাইটানের সঙ্গে স্কুলশিক্ষক কাওছার আলী। শুক্রবার ছবি তোলা।